অসময় মাকড়
তুমি আমার ভেতর
যাকে খুঁজে পেতে চাও,
সে আমি নই।
এই আমি আঙুলে
জড়িয়ে যাওয়া
ঝুলের সূতো।
অসময় অসাবধানে
জড়িয়ে গেছি।
যাকে তুমি সময় মতো
ঠিকই ঝেড়ে মুছে
ধুয়ে পরিচ্ছন্ন হবে।
কবে?
ঘুমভাঙা ভোরে
নিরাপদ জনপদে
খড়ে আগুনের আশংকা
হলে।
জিয়লকাঠির ঘৃতকুমার
যথারীতি বাকল খুলে
মূলে ও বিটপে
ফুলযুক্ত বৃক্ষ ভেবে
তোমার চোরাগলিতে,
আমি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের
ব্রিডিং, কাটিং, সংকরায়ণ হতে চেয়েছি।
কিন্তু সময় গলে যাচ্ছে
বৃষ্টিহীন খরায়।
তুমি খুঁজচ্ছো সুখ,
কবিতার এলোভেরায়।
ব্যালট প্রেম
তোমার সংসদীয় শব্দকোষে
আমি অনিশ্চিত আসন ব্যবস্থার পরিষদ।
অথচ তুমি বলো,
আমি স্থায়ী কমিটির সদস্য।
তুমি আসলে ভূঁয়া।
তবু তোমার প্রতীকযুক্ত
সিলমোহরকৃত ব্যালট পেপারই
আমার প্রিয়।
মিউঃ মিউঃ হুক্কাহুয়া!
লঘু, গুরু পল্লী
অনুপম তুমি
অপরূপা,
মাদুলির টিকা বিশ্বাসে
কণ্ঠায় ঝুলছে তোমার
অন্ধত্বের ফাঁস।
খড়িপাঠে অনীহা অতি,
গতিরোধ ধারণা তোমার শূন্য।
বিভূতি, শরৎ, সুরেন্দ্রমোহন,
দীনেন্দ্রকুমার কিংবা যোগেন্দ্রনাথ,
যে পল্লীসমাজ তুলে ধরেছেন...
সে ছিলো অতিদূরবর্তী
অজ্ঞ গাঁয়ের ছবি।
পল্লী কবি জসিমউদদীন
এঁকেছেন কত কাব্য ছবি!
এখন পল্লী মানেই
হল্লাবিল্লা,
জমির ফ্যাসাদ।
অতি চালাকের গলায় দড়ি।
খড়িপাঠ ছাড়াই ভিলেজ পলিটিক্স,
বিপ্লব, গণঅভ্যূত্থান!
পিএইচডি না হলেও
কথায়, প্যাচে এমফিল পাশ!
সাব্বাশ! সাব্বাশ! আরেব্বাশ!
বাংলায় এখন বারোমাস চৈত্রমাস!
0 Comments