চাঁদনী মাহরুবা
[বিদ্ধস্ত প্লেন দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি]
পিঠে ডানা গজানোর ব্যাথা নিয়ে পরে আছি।
দৃশ্যের ভেতর আমার চোখেমুখে ফুটছে পানিফলের স্মৃতি।
হাওয়াই মিঠাই থেকে উড়ে যাচ্ছে গোলাপি ঘ্রান।
পুরে যাচ্ছে রানওয়ের পাশে নিরীহ মোনালজীবন।
আমার আয়ুষ্কাল নিয়ে ফুটছে তুমুল মিলিশিয়া।
ডুংরির মোতি থেকে ছুটে আসা দুপুর ঘেঁষে আমি লিখছি...
যদি ভালো নাও লাগে, "তবু শরীরে তুলে নিও এই লাল"
আগারগাঁও -
আমাদের চারিদিকে বিপ্লবের বুদবুদ।
ঘনায়ে আসছে, ঘনায়ে আসছে এত।
তার মাঝে একটা শ্রাবন মাস_
ওভাবে কেন বিঁধে আছে?
এই বিফল জলমগ্ন সন্ধ্যা আমরা কেউ তো চাই নি।
হাতের নরম থেকে গুটায়ে আসা হাত, কফি বলয়ের কাছে নতজানু।
ঈষৎ পাপী এ ফেনায়
ফিরে ফিরে আসে কৌমুদ বন
কেউ যদি দেখতে চায়, বুক ভরা হাওয়া
তাকে বলিও, আগারগাঁও কলোনীর গাছেরা-
মানুষের মতোন ভীষণ একা এক নিষঙ্গ ঈশ্বর।
শ্রাবণকে তুলে রেখো মরনশীল দিনে
তেলাপিয়া মাছের ত্বক জুড়ে দিও।
তাও যদি থেকে যায়!
যারে রাখা যায় না, তারে কিভাবে রাখি?
এ পোড়া ক্ষত মেরামতের দিনে, আমাকে দিও দাঁতের উজ্জ্বলতা।
ভাতগলা স্মিত ভুলের দুপুর _
মৃতের আত্মাকে জাগিও না মরণশীল জনপদে।
0 Comments